যদি আপনি বিবাহিত হোন আর কখনো সকাল চারটেয় ঘুম ভেঙ্গে যায় আর চা খাওয়ার ইচ্ছে হয় তো স্বাভাবিক ভাবেই আপনি ভাববেন যে চা নিজে বানাবেন নাকি স্ত্রীকে জাগানোর দুঃসাহস করবেন? দুই পরিস্থিতিতেই আপনাকে নিম্নলিখিত ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকা থাকবে আর আপনি যাইই করুন না কেন আপনাকে দু চারটে কথা তো শুনতেই হবে যেটা বাস্তবে ৪০০ – ৫০০ টার থেকে কম হবে না!
প্রথম পরিস্থিতি :- (আপনি নিজে চা বানালেন) আপনি যদি নিজে চা বানিয়েছেন তো সকালবেলার ব্রহ্মমুহূর্তে আটটার সময় যখন আপনার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠবেন তো আপনাকে এটা শুনতেই হবে যে, “কী দরকার ছিলো নিজে বানানোর, আমাকে জাগিয়ে দিতে পারতে, পুরো পাত্রটাই তো জ্বালীয়ে দিয়েছো, আর ওটা দুধের পাত্র ছিলো, চায়ের নয়, চা বানানোর পাত্রে নীচে ডাল রাখা ছিলো, কিছুই বোঝো না!”
মানে আপনি নিজে চা বানানোর জন্য আপনার স্ত্রী দুঃখিত না লজ্জিত না মর্মাহত তা আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না, তবে সাথে এই উপলব্ধি হবে যে দুধ রাখার পাত্রে চা বানানো অপরাধ কিন্তু চা বানানোর পাত্রে ডাল রাখা যেতে পারে?
দ্বিতীয় পরিস্থিতি :- (আপনি আপনার স্ত্রীকে চা বানানোর জন্য ডেকে ওঠালেন) যদি আপনি ভুল করেও এটা করেন তবে আপনাকে যা শুনতে হবে – “আমার তো পোড়া কপাল, একটাও কাজ নিজে করতে পারে না, বাবা যে কী কুক্ষনে এখানে আমার বিয়ে দিয়েছিলো, এখন রাত দুপুরে এনার চা চাই, একটু শান্তিতে ঘুমোতেও দেবে না, সবে চোখটা লেগেছিল, আর এনার আবদারের শেষ নেই। চা খাওয়ার নেশাই চলে যাবে কিন্তু আদি অনন্তকাল ধরে ওই একই কথা শুনতে হবে।
তৃতীয় পরিস্থিতি :- এ এক বিচিত্র পরিস্থিতি… যদি আপনি চা নিজে বানাচ্ছেন আর চিনির কৌটোয় চিনি শেষ দেখে প্যাকেট থেকে চিনি বের করে কৌটোয় ভরে রাখেন আর ভাবেন যে একটা দারুন কাজ করলেন, তাহলে জেনে রাখুন আপনাকে কী শুনতে হবে – “কে বলেছে চিনি ভরে রাখতে? আজ ঐ ডিব্বাটা ভালো করে মাজবো ভেবেছিলাম”
সিদ্ধান্ত :- সংসারে স্ত্রীর নজরে স্বামী নামের প্রাণীটির সম্যক জ্ঞানের বড়োই অভাব, গুণী তো ওর নিজের বাবা অথবা ওর দুর্গাপুরের জামাইবাবু। এজন্য সমস্ত বিবাহিত পুরুষদের এই উপদেশ দেওয়া হচ্ছে যে যদি কখনো খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে যায় পুনরায় চুপচাপ ঘুমিয়ে পরাই বুদ্ধিমানের কাজ …!!
সংগৃহীত –