পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য মানুষকে উদ্যোগী করে তুলতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না যদি তিনি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হন। তবে সাধারণ মানুষের অবহেলার কারণে প্রতিদিন যেভাবে আবর্জনার পরিমাণ বেড়ে চলেছে তা পরিষ্কার করতে গেলে বহু সংখ্যক লোকের প্রয়োজন এবং তার চেয়েও বড় কথা সকলকে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। আর এই কাজটাই বেশ কঠিন।
পরিবেশ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব সকলেরই, এর জন্য টাকা দিয়ে কাউকে কাজ করালে সেটা আবার চাকরি বোঝাবে, যেটা কখনই কাম্য নয় এবং সে থেকে অনেক সমস্যারও সৃষ্টি হতে পারে। আবার কোনো মানুষকে বিনা পারিশ্রমিকে জোর করে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করালে সেখানেও বিপত্তি কারণ কেউ এতটাও মহৎ নয় যে ওই কাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করবে। তবে এই আবর্জনা পরিষ্কারের বদলে যদি পুরষ্কারস্বরুপ যদি কোনো খাবার বা পানীয় পাওয়া যায় তাহলে ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং হয়।
ওয়েদার চ্যানেল ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী গোয়ার একটি বারে ফ্রি-তে দেওয়া হচ্ছে বিয়ার পরিবর্তে আপনাকে বিচ থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে সেই বারে জমা দিতে হবে। মানুষের মধ্যে পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই শুরু করা হয়েছে এই প্রকল্প। নরিন ভ্যান হোলস্টেন যিনি ‘দৃষ্টি মেরিন’ নামের এক সংস্থার সাথে যৌথভাবে এই প্রকল্প শুরু করেছেন।
হোলস্টেন জানান, “এই প্রকল্প থেকে আমরা এবং ভ্রমণার্থীরা উভয়েই লাভবান হবো। এখানে আগত ক্রেতারা এই প্রকল্প দেখে বেশ উচ্ছসিত কারণ তারা সমাজের জন্য কিছু কাজ করছেন আর পরিবর্তে একটা ফ্রি ড্রিংক পাচ্ছেন।”
দৃষ্টি মেরিন একটি বেসরকারি সংস্থা যারা গোয়ার পর্যটন মন্তণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে সেখানকার বিচগুলি পরিষ্কার রাখার জন্য। এই প্রকল্প প্রথম শুরু হয়েছে উত্তর গোয়ার জাঞ্জিবার শ্যাক বারে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল মদ্যপানের কারণে ২০০০ টাকার জরিমানাও মুকুব হয়ে যেতে পারে যদি কেউ বিচ থেকে ১০টা বিয়ারের বোতলের ক্যাপ বা ২০টি সিগারেটের উচ্ছিষ্ঠ অংশ বা ৫টি ব্যবহৃত প্লাস্টিক স্ট্র জোগাড় করে আনতে পারে।
হোলস্টেন জানান, এই ধরণের ‘Waste Bar’ মোটেই নতুন কোনো চিন্তাভাবনা নয়। নেদারল্যান্ডে বহু বছর আগেই এই প্রকল্প শুরু হয়েছে আর তারপরই এই আইডিয়া ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর অন্যান্য সব দেশে। হোলস্টেনের মতে, বিচে ঘুরতে আসা ভ্রমণার্থীদের ফ্রি-তে বিয়ার খাওয়ায় হবে এবং তার সাথে বিচও পরিষ্কার থাকবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
প্রতি বছর গোয়াতে প্রায় ৮০ লাখ ভ্রমণার্থী আসেন এবং তাদের থেকে তৈরি হয় প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য পদার্থের। গোয়ার বিচগুলি নোংরা হওয়ার কারণে বারবার সাধারণ মানুষের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে সেখানকার সরকারকে। তাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি সংস্থা দৃষ্টি মেরিনের সাথে বিচ পরিষ্কার রাখার যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তবে নেটিজেনরা ফ্রি-তে বিয়ার পাওয়ার এই ‘ডিল’ বা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই উদ্দেশ্যে ট্যুইটারে প্রতিক্রিয়াও দেন অনেকে।
Now this is the first time i would encourage people to have beer, If that's what it takes to keep my beaches clean👏👏👏 @AfrozShah1 @bombaysunshine agree? https://t.co/rUi7TN2Wog
— Karanvir Bohra (@KVBohra) February 5, 2019
Here's to cleaner beaches #Goa https://t.co/g4NQjNOL6c
— Bidisha Kulshrestha (@bidishalolo) February 4, 2019
A great idea and initiative..👏👏 https://t.co/jrMx78TBaS
— i_stan_memes (@ashutoshiscool) February 5, 2019
That's a deal. https://t.co/FkQGmLRAZ4
— Himanshu (@Himansh83891303) February 5, 2019