দুজনেই নার্স, সঙ্গে রয়েছে পড়াশোনাও। করো’না আ’ক্রান্ত রো’গীদের পাশে দাঁড়িয়ে ল’ড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দুজনেই। সেই তাঁদেরই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভক্তসংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিগত কিছু মাস ধরেই এই দুই নার্সের গরম ছবি দেখে সরগরম নেটপাড়া। একজনের নাম কেইসি পামার্স আর একজন ক্যারিনা লিন। নার্সিংয়ের পাশাপাশই কেইসির পড়াশোনাও করছেন নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্য দিকে তাইওয়ানের ২৩ বছরের ক্যারিনা লিন পাকাপাকি ভাবে নার্সিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
ক’রোনাযো’দ্ধা তাঁরা, কিন্তু নেটিজন আপাতত সে সব ভুলে তাঁদের নামের পাশে অন্য তকমা জুড়ে দিয়েছেন। দুজনকেই বলা হচ্ছে, বিশ্বের সে’ক্সিতম নার্স। মুহূর্তে ফলোয়ার বাড়িয়ে নেওয়া এই দুই নার্স সম্পর্কে আরও তথ্যে নজর রাখা যাক।
ক্যারিনা লিন –
তাইওয়ানের এই নার্স আবার মডেলিংও করেন জোরকদমে। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই ইনস্টাগ্রামে ক্যারিনা লিনের ফলোয়ার্স সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৬ হাজারেরও একটু বেশি। আর এই বিপুল সংখ্যক ফলোয়ার্স তিনি পেয়েছেন মাত্র ৬৬টি ইনস্টা পোস্টের পরই।
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেনের একটি হাসপাতালের নার্স তিনি। তবে কাজের ফাঁকেই ফুরসত মিললেই ড্রেস চেঞ্জ করে ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে দেন ক্যারিনা।
ক্যারিনার ভক্তদের অধিকাংশই জওয়ান –
ক্যারিনার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ঝড়ে গতিতে বেড়ে চলেছে ফলোয়ার্স সংখ্যা। তবে তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই জওয়ান বা সেনাকর্মী। এত ভক্তসংখ্যা যে বাড়ছে তাতে তিনি বেজায় খুশি। কিন্তু ভেবে কূলকিনারা করতে পারছেন না যে, কী ভাবে এত জওয়ান তাঁর ভক্ত হতে পারেন।
তবুও ক্যারিনার উত্তর, “একজন নার্সেরও যেমন কর্তব্য। তেমনই একজন জওয়ানেরও। দুজনেই দেশের সেবায় নিবেদিত প্রাণ। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, আমাকে এত ভালোবাসার জন্য।”
একজন নার্সও মডেল হতে পারেন –
“এমন কোথাও লেখা রয়েছে নাকি যে, নার্সেরা মডেল হতে পারে না?” প্রশ্নচিহ্ন ছুড়ে দিয়ে ক্যারিনা বলছেন, “ডিউটি টা ডিউটির জায়গাতেই রয়েছে। ডিউটি শেষ হয়ে গেলে আমি কী করছি, আর কী করব– তা সম্পূর্ণ ভাবেই আমার ব্যক্তিগত বিষয়।”
কিছু দিন আগেই তাঁর বি’কিনি পরিহিত একটি ছবিকে ঘিরে তী’ব্র বি’তর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময়েই এমনতর মন্তব্য করেছিলেন ক্যারিনা।
সমালোচকদের সপাটে জবাব –
কিছু দিন আগেই ফের সমালোচকদের রো’ষানলে পড়েছিলেন ক্যারিনা। আর তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়ে বলেছিলেন, “বিখ্যাত হওয়ার জন্য আমি ছবি তুলি না। আমি সেগুলোই করে থাকি, যেগুলো আমাকে আনন্দ দেয়।
আমি মনে করি না আমার মধ্যে কোনও বিশেষ কোয়ালিটি রয়েছে বা সবার থেকে আলাদাও আমি নই। আমি খুবই সাধারণ একজন নারী। আর পাঁচটা নারীর মতোই সাধারণ জীবনযাপন করছি।” ক্যারিনাই আখ্যা তাইওয়ানের প্রথম মহিলা, যাঁর ইনস্টাগ্রামে এত বিপুল সংখ্যক ফ্যান।
#CarinaLinn Lost 10kg….🔥🔥
Posted by Carina Linn on Tuesday, June 25, 2019
কেইসি পামার্স –
নেটপাড়ায় তাঁর অনেক নাম। কেউ বলে থাকেন কেইসি, কেউ আবার তাঁর নাম দিয়েছেন কেই। নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের নার্স কেইসি।
১২ ঘণ্টারও বেশি ডিউটি করতে হয় তাঁকে। আর এই করো’নার কালবেলায় তো ডিউটি হাওয়ার্স শেষ হওয়ার নামই নেই। খুব সামনে থেকেই করো’না আ’ক্রান্তদের সেবা-শুশ্রুষার কাজ করে যাচ্ছেন কেইসি।
ভক্তদের ভিড়ে আপ্লুত –
রয়েছে চাকরি, তাল মিলিয়ে চালিয়ে যেতে হচ্ছে পড়াশোনাও। অবসর মিললেই বাইরে বেড়াতে যাওয়া। এতশত কাণ্ডের পরেও নেটপাড়ায় নিজের জনপ্রিয়তা এতটুকুও কম হতে দেননি কেইসি পামার। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি।
এক ভক্তের ভিড়ে কি হারিয়ে গেলেন নার্স কেইসি? বললেন, “একদমই হারিয়ে যাইনি। দেশের মানুষের সেবা করি বলেই মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। তবে স্রেফ একজন নার্স হয়ে এত মানুষের মনে জায়গা করে নেব, তা কখনও কল্পনা করিনি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।”
কাগজ নয়, দৌড়াও স্বপ্নের পিছনে –
কেইসির ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের বায়োতে লেখা রয়েছে ঠিক এমনটাই। অর্থাৎ স্বপ্ন পিছনে তিনি দৌড়তে পছন্দ করেন। নার্স হিসেবে দেশের মানুষের সেবা করাটা যে খুবই কঠিন কাজ সেই কথাটা স্বীকার করলেন কাই। কিন্তু এত সব কিছুর পরেও বললেন, ‘আগে দেশের সেবা। পরে অন্য কিছু।’
ভালবাসেন ঘুড়তে –
কাজের পাশাপাশিই রয়েছে তাঁর পড়াশোনা। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাও করেন কেইসি। তবে বেড়াতে যেতে বড্ড ভালোবাসেন তিনি।
অন্তত তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তো সেই কথাই বলছে। ইতিমধ্যেই কাজ, পড়াশোনার পরেও ঘুরে চলে এসেছেন ফিজি, থাইল্যান্ড, বালি, পুয়ের্তো রিকো, দ্য বাহামাস এবং আরও বেশ কিছু জায়গা থেকে।
সংগৃহীত – এই সময়