১৪ এপ্রিলের পর চার সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে উঠতে পারে লকডাউন!‌ – টুইট আর কে মিশ্রর

0
1386

কতদিন চলবে দেশ জোড়া লকডাউন?‌ এই নিয়েই চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে এখন সাধারণ মানুষের মনে। ঠিক কতদিন ধরে এভাবে বাড়িতে বসে থাকা সম্ভব?‌ তাই অনেকেই জানতে চাইছেন, এরপরেও লকডাউন থাকবে না তো?‌ আর সেই নিয়েই টুইটারে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা আর কে মিশ্র। টুইটারে তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন শিল্পপতি, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ ও নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে মোটামুটি এই সিদ্ধান্তেই পৌঁছানো যায় যে লকডাউন তুলতে হলে ধাপে ধাপে চার সপ্তাহ ধরে লকডাউন তুলতে হবে।

দেশজোড়া জল্পনার মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিনই তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন।

আইটি, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও বিপিও সংস্থার ক্ষেত্রে, প্রথম সপ্তাহে ২৫ শতাংশ, পরের সপ্তাহে ৫০ শতাংশ, তারপরের সপ্তাহে ৭৫ শতাংশ এবং তারপরের সপ্তাহে ১০০ শতাংশ কর্মীকে ডাকতে হবে। তবে দেখতে হবে সোশ্যাল ডিস্টেসিংয়ের নিয়ম যেন মানা হয়।  খাবার ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহ থেকেই পুরো কাজ শুরু করতে হবে।

অন্য ক্ষেত্রে যে গুলি সব কর্মী ছাড়াও চলতে পারে, সপ্তাহ ভিত্তিতে সেগুলি পরিস্থিতি বিচার করে চালাতে হবে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চার সপ্তাহ বন্ধ রাখাই ভাল। ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারে, তবে সেটাও নিয়ন্ত্রিত। স্কুল, মল, সিনেমা হলে সংক্রমণের সুযোগ সবচেয়ে বেশি। সেগুলিকে চার সপ্তাহ আরও বন্ধ রাখা দরকার। তারপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত। প্রথম সপ্তাহ থেকেই ই কমার্স ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এটা জরুরি। পণ্যবাহী ট্রাককে অনুমতি দেওয়া দরকার। তবে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে।

ধীরে ধীরে কিছু ব্যক্তিগত গাড়িকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে, কারণ সেগুলি থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা কম। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চার সপ্তাহ বন্ধ রাখাই ভাল। ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারে, তবে সেটাও নিয়ন্ত্রিত।

এক, ‘হটস্পট’ এলাকায় ১৪ এপ্রিলের পরেও লকডাউন উঠবে না। দুই, একসঙ্গে সব কিছু খুলে দেওয়া হবে না। নানা রকম বিধিনিষেধ জারি থাকবে। যেমন, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে স্কুল-কলেজ আরও কিছু দিন বন্ধ রাখা হতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকারের হিসেব ছিল, দেশে করোনা-সংক্রমণের হার চলতি সপ্তাহেই শীর্ষে উঠবে। তার পরে নামতে শুরু করবে।

কিন্তু তবলিগি জামাতের জেরে সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমে আসার সময়টা পিছিয়ে দিয়েছে।’’ দিল্লির এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘‘১০ এপ্রিল গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান মিলবে। তা থেকেই বোঝা যাবে লকডাউনে কতটা সাফল্য এসেছে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’’

সূত্র –