হলিউডের নামকরা নির্মাতা স্টিভেন সোডারবার্গের সিনেমা ‘কন্টেজিয়ন’-এর সঙ্গে চীনে রহস্যময় ভাই’রাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা অদ্ভুত ভাবে মিলে যায়! ২০১১ সালে নির্মিত সিনেমাটি ইতিমধ্যেই আই টিউনসের টপ টেন মুভি রেন্টাল লিস্টের শীর্ষে চলে এসেছে। সিনেমাটিতে ভাই’রাসের আত’ঙ্কজ’নক সংক্র’মণের ঘটনা ফুটে উঠেছে। যদিও অনেক আগে থেকেই হলিউডের সিনেমায় এ ধরনের ঘটনা দর্শক দেখেছে। যেখানে ভাই’রাসকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে সিনেমার গল্প।
আউটব্রেক –
১৯৯৫ সালে জার্মান পরিচালক উলফগ্যাং পিটারসনের ‘আউটব্রেক’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। ডাস্টিন হফম্যান, রেনে রুশো, মরগান ফ্রিম্যান, কিউবা গুডিং-এর মতো জাঁদরেল সব অভিনেতা-অভিনেত্রী ছিলেন এই সিনেমায়। আফ্রিকার দেশ জায়ারে অনেকটা ইবোলার মতো প্রা’ণঘা’তি কল্পিত এক ভাই’রাস ‘মোতাবা’ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেই ভাই’রাস আমেরিকার ছোট্ট এক শহরে সংক্রমিত হয়।
ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড –
এক ধরনের ভাই’রাসের কারণে জোম্বি অর্থাৎ ন’রঘা’তক হয়ে ওঠার কাহিনি দেখানো হয় ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড’ সিনেমায়। ব্র্যাড পিট সিনেমাটিতে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও ছিলেন।
আই অ্যাম লিজেন্ড –
হলিউড সুপারস্টার উইল স্মিথ অভিনীত ২০০৭ সালের সিনেমা ‘আই অ্যাম লিজেন্ড’। সিনেমায় ভাই’রোলজি’স্টের চরিত্রে অভিনয় করেন স্মিথ। সেখানে দেখানো হয় বেশ কয়েক বছর আগে প্লেগে আ’ক্রান্ত নিউ ইয়র্কের বেশিরভাগ মানুষ মা’রা যায়, বাকীরা পরিণত হয় দানবে। একমাত্র বেঁচে থাকা মানুষ স্মিথ এ থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে থাকে।
রেসিডেন্ট ইভিল সিরিজ –
২০০৪ সালে ‘রেসিডেন্ট ই’ভিল: অ্যাপোক্লিপ্স’ মুক্তি পায়। এরপর ২০০৭-এ ‘রেসিডেন্ট ই’ভিল: এক্সটিংশন’ ও ২০১০-এ ‘রেসিডেন্ট ই’ভিল: আফটার লাইফ’, ২০১২ সালে ‘রেসিডেন্ট ই’ভিল: রিট্রিবিউশন’ এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালে ‘রেসিডেন্ট ই’ভিল: দ্য ফাইনাল চ্যাপ্টার’ মুক্তি পায়। মিলা জোভোভিচ অভিনীত এই সিনেমার সিরিজ গুলোতে দেখানো হয় একটি বিশেষ চক্রের কারণে জীবা’ণু অ’স্ত্রের মাধ্যমে কীভাবে জোম্বি হয়ে পড়ছে গোটা শহর।
টুয়েন্টি এইট ডেইজ লেটার –
২০০২ সালে ড্যানি বয়েল পরিচালিত সিনেমাটি দেখানো হয় অসাবধানতাবশত উন্মুক্ত হওয়া একটি ভাই’রাস কীভাবে পুরো সভ্যতাকে ধ্বং’স করতে শুরু করে। সিনেমাটি একটি মাইলফলক তৈরি করে। প্রশংসার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সাফল্যও পায়। সে কারণে ২০০৭ সালে এর সিকুয়েল ‘টুয়েন্টি এইট উইকস লেটার’ মুক্তি পায়।
ব্লাইন্ডনেস –
২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে দেখানো হয় একটি সমাজে অন্ধ’ত্ব কীভাবে ম’হামা’রী রো’গের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
ম্যাগি –
ভাই’রাসজনিত রো’গ ম’হামা’রী আকারে ছড়িয়ে পড়ার কাহিনি দেখানো হয় অ্যাকশন স্টার আর্নল্ড শোয়ের্জনিগার অভিনীত ২০১৫ সালের সিনেমা ‘ম্যাগি’তে। সিনেমায় এই নায়ককে আবেগতাড়িত, খুব ভিন্ন এক চরিত্রে দেখা গেছে।
ডুমস ডে –
২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় ভবিষ্যতের স্কটল্যান্ডে এক ভ’য়াবহ ভাই’রাস সংক্র’মণের ঘটনা দেখানো হয়।
ক্যারিয়াস্ –
২০০৯ সালের সিনেমা ‘ক্যারিয়ারস’-এ দেখানো হয় চার বন্ধু ভয়াবহ ভাই’রাস সংক্র’মণের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারে, আসলে তারা নিজেরাই অন্য ভাই’রাসের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
প্যানডামিক –
ভাই’রাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ম’হামা’রীতে মা’রা যাচ্ছে মানুষ। এ অবস্থায় এক ডাক্তার ও তার দল ঐ ম’হামা’রী থেকে যেসব মানুষ বেঁচে গেছে, তাদের খুঁজে বের করে। এমন কাহিনি উঠে এসেছে ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘প্যানডামিক’-এ।
১২ মাঙ্কিজ –
এই সাই-ফাই ফিল্মটি ব্রুস উইলিসের চরিত্রটিকে অনুসরণ করেছে কারণ ১৯৯০-এর দশকে মানবতা প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল এমন একটি ভাই’রাসটির উৎস সনাক্ত করার জন্য তাঁকে সময়ে সময়ে পাঠানো হয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটি ম’হামা’রীর আগে এবং সভ্যতার শেষের দিকে কীভাবে দেখায় তা বিশ্বকে দেখিয়েছিল।
৯৩ ডেইজ –
সত্য ঘটনাগুলির উপর ভিত্তি করে, এই সিনেমাটি সেই পুরুষ ও মহিলাদের গল্পের কথা যারা প্রথম সারিতে লড়াই করেছিল এবং ২০১৪ সালে নাইজেরিয়ার মারাত্মক ইবোলা প্রাদুর্ভাবের বি’রুদ্ধে তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিল।
বার্ড বক্স –
পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপটিক বিশ্বে সেট করা, এই সিনেমাটি এমন এক মহিলার গল্প অনুসরণ করেছে যা তার বাচ্চাদের সাথে সুরক্ষার দিকে ঝুঁ’কিপূর্ণ যাত্রা শুরু করে। তারা দেশটিতে জর্জরিত রহস্যময় প্রাণী গুলি পরিষ্কার করতে নীরবতায় অনেক বেশি ভ্রমণ করে, যে কোনও মানুষকে তাদের নিজের জীবন নিতে বাধ্য করে।
কার্গো –
গ্রামীণ অস্ট্রেলিয়ায় সেট করা, কার্গো এমন এক অসু’স্থ ব্যক্তির কাহিনী শোনাচ্ছেন যিনি ধীরে ধীরে তার প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটছে এমন সং’ক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তার মেয়ের জন্য একটি নতুন বাড়ি খুঁজে বের করার জন্য প্রচুর প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যায়।
দ্যা কিউরেড –
নিরাময় একটি পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপটিক বিশ্বে সংঘটিত হয়েছিল, এটি একটি জম্বি প্লেগের পরে ইউরোপকে দখল করেছে। অন্যান্য জম্বি চলচ্চিত্রগুলির মতো নয়, এই চলচ্চিত্রটি জীবিতরা কীভাবে পূর্বে সংক্রা’মিত সমাজে পুনরায় সংহত করার চেষ্টা করে তা মোকাবেলা করে। কাল্পনিক হলেও চলচ্চিত্রটি ম’হামা’রী কীভাবে মানিয়ে নেবে তার সম্ভাব্য দৃশ্যের চিত্র প্রদর্শন করে।
চিল্ড্রেন অফ ম্যান –
২০২৭ সালের ঘটনা চিন্তা করুন, যখন মানব বন্ধ্যা’ত্বের দুই দশক পরে সমাজ যখন বিলু’প্তির পথে, তখন এক মহিলা অলৌকিক ভাবে গর্ভবতী হন। একজন প্রাক্তন কর্মী যাকে সুরক্ষিত ভাবে পরিবহনের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে।
ফ্লু –
দক্ষিণ কোরিয়ার এই দুর্যোগ ফিল্মটি সিওলের বাসিন্দাদের গল্প বলছে কারণ তারা একটি মা’রাত্ম’ক বায়ুবাহিত ভাই’রাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে লড়াই করে। যে ভাই’রাস ৩৬ ঘন্টার মধ্যে সংক্রা’মিত যে কাউকে মে’রে ফেলে।
সূত্র – ইন্টারনেট