উফফ্…মেয়েদের তৈরি হতে কত না সময় লাগে। কোনো মেয়েকে বাইরে নিয়ে যাওয়া কি ঝঞ্ঝাটের কাজ মাইরি। চল ভাই তার থেকে ভালো আমরা দুজন মিলেই চলে যায়। তারপর ও আবার মুখ বাঁকিয়ে রাগ করে বসে থাকবে। এইসব কথা শুনে আপনি নিশ্চয় আন্দাজ করতে পারছেন যে, এক ছেলে তার গার্লফ্রেন্ডের জন্য অপেক্ষা করছিল এবং যথারীতি সাজগোজ করতে তার দেরি হওয়ায় বাকি দুজন তার উপর রেগে যায়। বেচারি মেয়েদের বেশিরভাগ সময়ই বাকিদের বকুনি সহ্য করতে হয় চুপচাপ।
এই সমস্যা এক দুজনের নয়, বেশিরভাগ মেয়েরই রয়েছে এই সমস্যা। এখন ছেলেদের কে বোঝাবে বলুন, একটা ছেলের আর একটা মেয়ের সাজগোজ করে তৈরি হওয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। এর মধ্যে যদি আবার অস্বাভাবিক কিছু ঘটে যায় তাহলে মেয়েদের তৈরি হতে ২ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা অবধি লাগতে পারে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক মেয়েদের সাজগোজের সময় কয়েকটি সমস্যার কথা।
হঠাৎ করে জিন্স ছিঁড়ে যাওয়া
ছেলেরা ছেঁড়া জিন্স পড়েও বাইরে বেরোতে পারে, সেক্ষেত্রে কোনোও সমস্যা নেই। কিন্তু কোনো মেয়ের জিন্স যদি গোপন অংশের কাছে ছিঁড়ে যায় তাহলে তা খুবই সমস্যার বিষয়।
লিপস্টিক খারাপ হওয়া
মেয়েদের ভাগ্যটাই খারাপ, অনেকটা সময় নিয়ে লিপস্টিক লাগায়, আর ভুল করে কিছু খেতে গেলে লিপস্টিক ঘেটে যায়। এই সমস্যা থোড়িই না ছেলেরা বুঝবে।
যেকোনো একটা বেছে নেওয়া
আই শেড-এর রঙ বাছা মেয়েদের কাছে এক বিশাল সমস্যার জিনিস, তা শুধু মেয়েরাই বোঝে। ঠিকঠাক কালার যারা মূহুর্তের মধ্যে বেছে নিতে পারে তাদের তো মেডেল দেওয়া উচিৎ।
হে ভগবান, এই দাগ
আপনি এই দাগ দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কিভাবে হয়েছে এই দাগ। ছেলেদের কোনোদিনই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।
নেল পালিশ খারাপ হওয়া
এক তো নেল পালিশ লাগানোর জন্য অনেক সময় নষ্ট হয়, তার উপর আবার ওটা শুকনো করতে হয়। এই দুই কাজ একসাথে করা কম ঝক্কির নয়। এরপর যদি নেলপালিশ খারাপ হয়ে যায় তাহলে তো মাথায় বজ্রাঘাত পড়ে।
নেল পালিশের শিশি ভেঙে যাওয়া
একবার ভেবে দেখুন, আপনি আপনার মদের বোতল কিনে আনলেন আর এক পেগ খাওয়ার পর বোতলটাই ভেঙে গেল। তাহলে আপনার কেমন লাগবে? এই একই কষ্ট নেল পালিশের শিশি ভাঙলে হয়।
নখ ভেঙে যাওয়া
নখ ভেঙে যাওয়া ব্রেক-আপের চেয়েও বেশি বেদনাদায়ক। ব্রেক-আপের পর তবুও প্যাচ-আপের সম্ভব কিন্তু ভাঙা নখ ফেভিক্যুইক দিয়েও জোড়া সম্ভব নয়। একেই বলে দুর্ভাগ্য।
এরও এক অন্যরকম দুঃখ রয়েছে
মেয়েদের ফেস পাউডারের এইদশা হলে মেয়েরা সত্যিই খুব দুঃখ পায়।
চুলকানি
ছেলেরা তো খোলা ষাঁড়ের মত যেখানে সেখানে ঘোরে, পাবলিক জায়গাতেই যা খুশি করতে পারে। কিন্তু মেয়েদের পাবলিক প্লেসে সবদিক ধ্যান দিয়ে পদক্ষেপ নিতে হয়। পাবলিক প্লেসে যদি গোপন জায়গায় চুলকানি পায়, তাহলে তা রীতিমতো অস্বস্তিকর।
চুল-চুল-চুল
মেয়েদের বিরুদ্ধে সবসময় অভিযোগ করা হয় বাথরুম থেকে শোওয়ার বিছানা, রান্নাঘর অবধি সর্বত্র চুল পড়ে থাকে বলে। কিন্তু মেয়েরা লম্বাচুলের এতই বা খেয়াল রাখবে কিভাবে?
উফ্ কি সমস্যা
রিপড জিন্স এখন বেশ ট্রেন্ডি এবং এই জিন্সে মেয়েদের বেশ কুল লাগে। কিন্তু এটা পরার সময় অনেক সমস্যা করে মেয়েদের।
চুলের রাবার ব্যান্ডের এই দশা
পনি টেল বাঁধলে মেয়েদের বেশ সুন্দরী লাগে, কিন্তু একবার চুল বাঁধার পর রাবার ব্যন্ডের যা অবস্থা হয় আপনারা সেটা দেখতে পাচ্ছেন।
কোন সাইজ নেবো
মেয়েদের প্রায়শই এই সমস্যা হয় শপিং-এ গিয়ে। পছন্দের জিনিস কিনতে গিয়ে দেখা যায়, নিজের সাইজের নেই, তাই বাধ্য হয়েই এক সাইজ বড় বা ছোট নিয়ে অ্যাডজাস্ট করতে হয়।
একটু বেশিই ছোটো
ছোটো সাইজ কিনলে এই এক সমস্যা।
এটা আবার একটু বেশিই বড়
আবার বড় সাইজ নিলে আরেক সমস্যা।