আমান্ডা স্প্যারো লার্জ নামে এক আইরিশ ৪৬ বছর বয়সী নারী তার সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন প্রায় ৩০০ বছর বয়সী এক প্রেতাত্মাকে । চলতি বছরের শুরুর দিকে তাদের ‘বিয়ে’ হয় । বেশ ধুমধাম করেই প্রেতাত্মার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আমান্ডার । কিন্তু সেই ‘দাম্পত্য’ জীবনের ইতি টানলেন বছর শেষ হবার আগেই । আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমান্ডা ১৮ শতকের এক হাইতিয়ান জলদস্যুর প্রেতাত্মার মধ্যে নিজের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ।
ওই নারীর দাবি, ওই প্রেতাত্মার নাম জ্যাক । কিন্তু বছর শেষ হবার আগেই দেখতে পান তাদের মধ্যে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে না । পরে তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন । সদ্য এই বিচ্ছেদের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি বলেও দাবি করেছেন তিনি । বিচ্ছেদের কারণ আমান্ডা সময় হলেই জানাবেন বলে জানিয়েছেন ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘অশরীরী’ হলেও আমান্ডা প্রেতাত্মার সঙ্গে বেশ সুখের সময় কাটিয়েছেন । শুধু একসঙ্গে ডেটিংয়েই নয়, তাদের যৌন জীবনেও নাকি কোনো সমস্যা ছিল না বলে দাবি তার ।
কিন্তু প্রেতাত্মার সঙ্গে কীভাবে শুরু হলো এমন সম্পর্ক ? দুই বছর আগে জ্যাকের প্রেতাত্মাই নাকি প্রেমের প্রস্তাব দেয় আমান্ডাকে । প্রথমে এই অদ্ভুত প্রস্তাবে সাড়া না দিলেও, পরে যত সময় যেতে থাকে আমান্ডাও প্রেতাত্মার প্রেমে পড়তে শুরু করেন । টানা দুই বছর ‘প্রেম’ করার পর বিয়ে করেন তারা ।
বিচ্ছেদের পর আমান্ডা জানান, কোনো প্রেতাত্মার সঙ্গে প্রেম করার আগে যথেষ্ট সাবধান হওয়া উচিত ।