বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপদ সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল ভারত। ধোনি-জাদেজা মাঠে নেমে প্রায় হেরে যাওয়া সেই ম্যাচ দুর্দান্ত লড়াই করে ধরাছোঁয়ার মধ্যে নিয়ে আসে। কিন্তু যখনই ম্যাচ এসে গেছিলো হাতের মধ্যে, তখনই ছন্দপতন। জাদেজা-ধোনিরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও পারলেন না। সেমিফাইনালে পৌঁছে দেশের এই হার মেনে নিতে পারলেন না খানাকুলের বাসিন্দা শ্রীকান্ত মাইতি। ধোনি আউট হওয়ার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির।
ধোনির রান আউটে স্বপ্ন শেষ হয়েছে বিরাটদের। সঙ্গে হতাশায় মুড়ে গিয়েছে ১৩০ কোটি দেশের দেশ। সেমি-ফাইনালে খেলা দেখার সময় মৃত্যু হল এক ক্রিকেটপ্রেমী ও ধোনিভক্ত যুবকের। খেলার চূড়ান্ত পর্যায়ে ধোনির রান আউট টা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারেনি বছর ৩৩ এর শ্রীকান্ত মাইতি।
ভারত সেমিফাইনালে উঠতেই বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত ভেবে নিয়েছিলেন তিনি। বুধবার বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসেই খেলা দেখতে শুরু করেন শ্রীকান্ত। খেলার প্রথমার্ধের ফলাফলে কিছুটা ভেঙে পড়লেও ধোনি-জাদেজা মাঠে নামতেই জয়ের বিষয়ে আশাবাদী হন তিনি। কিন্তু আপ্রাণ চেষ্টা করেও সাফল্য পায়নি ভারত। আউট হয়ে যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় দেশ।
ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের খানাকুলের সিকন্দরপুরে। বরাবরই ক্রিকেটপ্রেমী সিকন্দরপুরের বাসিন্দা শ্রীকান্ত মাইতি। কোনও ক্রিকেট ম্যাচই বাদ দেন না তিনি। সেরকমই শুরু থেকেই বিশ্বকাপে নজর ছিল তাঁর। শুরুর পর থেকেই কোনও খেলাই মিস করেননি। পেশায় সাইকেল গ্যারাজের মালিক শ্রীকান্তবাবু দোকানে বসে মোবাইলেই খেলা দেখতেন। দল জিতলেই আনন্দে মেতে উঠতেন। আর হারলেই মন খারাপ হত তাঁর।
শ্রীকান্ত মাইতি, নিজের সাইকেলের দোকানেই ফোনে ম্যাচ দেখছিলেন তিনি। এলাকারই এক মিষ্টির দোকানের মালিক জানিয়েছেন, ‘একটা চিত্কার শুনে আমরা ওঁর সাহায্যে ছুটে যাই। গিয়ে দেখিতে তিনি মেঝেতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। আমরা তাঁকে খানাকুল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
অত্যন্ত খেলা প্রেমী মানুষ ছিলেন। ঘটনার পরই এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। হাসপাতালের তরফে জানানো হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে শ্রীকান্তর। পরিবারের কথায়, খেলার ফলাফলের জেরে এই ঘটনা।