সাবধান: গরমকালে এই খাবারগুলি খেলে গা থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ বেরবে কিন্তু!

0
1378

গরমের সময় ঘাম তো হবেই হবে। আর এমনটা হলে লেজুড় হবে ঘামের বিরক্তিকর গন্ধ। ফলে নানা ব্র্যান্ডের সুগন্ধি কিনতে কিনতে যে পকেট খালি হয়ে যাবেই, সে আর নতুন কথা কী! কিন্তু একথা জানা আছে কি এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি যদি এই গরমে বেশি মাত্রায় খাওয়া হয়, তাহলে বোতল বোতল পার্ফিফম ব্যবহার করেও গায়ের দুর্গন্ধকে চাপা দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ গবেষণায় অনুসারে এই খাবারগুলির অন্দরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে গায়ের দুর্গন্ধ আরও বেড়ে যায়, যা অনেক ক্ষেত্রেই পার্ফিউমের সুগন্ধে চাপা দিতে পরে না। ফলে লোকসমাজে সম্মানহানীর আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো বলি বন্ধুরা বাসে-ট্রামে বা অফিসে গায়ের দুর্গন্ধের কারণে যদি লজ্জায় পরতে না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!

প্রসঙ্গত, যে যে খাবারগুলির সঙ্গে গায়ের দুর্গন্ধের সরাসরি যোগ রয়েছে, সেগুলি হল..

১. কফি:

বেশি মাত্রায় কপি পান করলে শরীরে ক্যাফিনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এমনটা হলে মস্তিষ্কের বিশেষ একটি অংশ এত মাত্রায় অ্যাকটিভ হয়ে যায় যায় যে সোয়েট গ্ল্যান্ড থেকে বেশি মাত্রায় ঘামের উৎপাদন হতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হলে কী মাত্রায় ঘামের দুর্গন্ধ হয়, সে সম্পর্কে নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না! তাই বন্ধু গরমকালে যদি পার্ফিউমের বাজেট বাড়াতে না চান, তাহলে ভুলেও ১-২ কাপের বেশি কফি খাবেন না যেন!

২. বিট:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই সবজিটিতে উপস্থিত মেথিল নামক একটি উপাদান শরীরে প্রবেশ করে “ট্রিমেথিলেমাইন” নামক এক ধরনের কেমিকালের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, যা ঘামের মাধ্যমে বেরতে শুরু করলে শরীর থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ বেরতে থাকে। তাই তো গরমের সময় বেশি মাত্রায় বিটের তরকারি খেতে মানা করা হয়।

৩. পাঁঠার মাংস:

সুস্বাদু মটন কারি খেতে তো ভাল লাগেই। কিন্তু তার পরে সেই মটন কারি শরীরে ঢুকে কত কিছু যে করে সে বিষয়ে কি কোনও জ্ঞান আছে? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে রেড মিট খাওয়ার পর তার বেশিরভাগ অংশই একেবারে হজম হতে পারে না। ফলে যে অংশটা হজম না হয়ে পরে থাকে, সেটি ঘামের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে। আর এমনটা যখন হতে থাকে তখন শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি আরও অ্যাকটিভ হয়ে যায়। ফলে গায়ের দুর্গন্ধ আরও মারাত্মক আকার নেয়।

৪. চুইং গাম:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন! বেশি মাত্রায় চুইং গাম খাওয়া শুরু করলে কিন্তু গা থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। কারণ চুইং গাম খাওয়ার সময় প্রচুর মাত্রায় বাতাস শরীরে প্রবেশ করে, যা স্টামাকে জমতে থাকে। কিছু সময় পর ওই গ্যাস, নানাবিধ অ্যালিডের সঙ্গে মিশে যখন শরীর থেকে বেরিয়ে আসে, তখন তার গন্ধ কতটা যে খারাপ হতে পারে, তা নিশ্চয় আপনারা আন্দাজ করতেই পারছেন।

আরও পড়ুন ঃ

এই সব পর্ণস্টার হল বিবাহিত, এদের স্ত্রীদের দেখলে আপনি পাগল হয়ে যাবেন দেখুন

৫. মদ:

দুলতে থাকা বরফের সঙ্গে ঠান্ডা অ্যালকোহল যখন আমাদের গলা দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে, তখনই তা অ্যাসিটিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়ে ত্বকের ছিদ্রগুলি দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারি ব্যাকটেরিয়াদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই আপনি যদি ঘামের গন্ধের কারণে লজ্জায় ভোগেন তাহলে এই ধরনের পানীয়ের থেকে দুরত্ব বজায় রাখাই ভাল।

৬. মাছ:

শরীর সুস্থ রাখতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় থাকে মাছে। তাই তো সুস্থ জীবন পেতে মাছ খাওয়াটা জরুরি। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। মাছে কোলিন নামে একটি উপাদান থাকে, যা গায়ের গন্ধকে বাড়িয়ে দেয়। আসলে অনেকেই মাছ খাওয়ার পর তা ভাল করে হজম করতে পারেন না। ফলে কোলিন নামক উপাদানটি এতটাই সক্রিয় হয়ে যায় যে ঘামের সঙ্গে ট্রিমেথিলেমিন নামে একটি উপাদান বেরতে শুরু করে, যা গন্ধের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

৭. বেশ কিছু সবজি:

আপনার গায়ে কি খুব গন্ধ হয়? তাহলে ব্রকলি, বাঁধাকোপি, ব্রাসেল স্প্রাউট এবং কর্নফ্লাওয়ার খাওয়া একেবারেই চলবে না। প্রসঙ্গত, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এই সবজিগুলি শরীরকে চাঙ্গা রাখতে দারুন উপকারে লাগে ঠিকই, কিন্তু এতে উপস্থিত সালফার গায়ে মারাত্মক গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই তো যাদের গায়ে খুব বদ গন্ধ হয়, তাদের এই সবজিগুলি খেতে মানা করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

৮. বেশি মাত্রায় ঝাল মশলা দেওয়া খাবার খাবেন না:

সুস্বাদু পদের জন্ম আদা, রসুন এবং পেঁয়াজ ছাড়া সম্ভবই নয়। কিন্তু সমস্যাটা হল এমন ধরনের খাবারে উপস্থিত এই সব মশলাগুলিতে প্রচুর মাত্রায় সালফার থাকে। আর একথা তো কারও আজানা নেই যে গায়ে বদ গন্ধ সৃষ্টিতে সালফারের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো গরমকালে একটু কম মশলা দেওয়া খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। দেখবেন তাতে ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে।

Source